সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের অনেক অ্যাকাউন্ট। বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে এই বিড়ম্বনায় পড়েন।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভুয়া অ্যাকাউন্ট বাছাই করতে শুরু করার পর থেকে বিভিন্ন ব্যাবহারকারী তাদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারার কথা জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে অ্যাকাউন্ট মুছে দেওয়া বা নিষ্ক্রিয় করার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছে ফেসবুক।
তবে বন্ধ হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে চালু করার সুযোগ রয়েছে বলে ফেসবুকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
এরআগে, গত বুধবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছিলো, ভুয়া অ্যাকাউন্ট বাছাই করতে শুরু করেছে তারা। ফেসবুকে একই পোস্ট বারবার দেওয়া, বার্তা দিয়ে বিরক্ত করার মতো সন্দেহজনক আচরণও পর্যবেক্ষণ করছে তারা।
ফেসবুক বলছে, এখন বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট চালু করতে যাচাই (ভেরিফিকেশন) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে। জাতীয় পরিচয়পত্র, মেইল ঠিকানা ও অ্যাকাউন্ট নাম ফেসবুকের কাছে পাঠিয়ে তা পর্যালোচনার জন্য জমা দিতে বলা হচ্ছে।
এজন্য হেল্প সেন্টারে গিয়ে ‘সাবমিট অ্যান আপিল’ লিংকে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে তা পর্যবেক্ষণে রাখছে ফেসবুক।
ফেসবুক সিকিউরিটি টিমের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ভুয়া অ্যাকাউন্ট ঠেকানোর কার্যকর উপায় হিসেবে উন্নত ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। এর মাধ্যমে ফেসবুক কমিউনিটি আরও উন্নত হবে। যা ফেসবুকে বিজ্ঞাপনদাতা, প্রকাশক, সহযোগীসহ সবার কাজে আসবে।
ফেসবুকের প্রটেক্ট অ্যান্ড কেয়ার টিমের কারিগরি প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক শবনম শেখ এক ব্লগ পোস্টে বলেছেন, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ অন্য কয়েকটি দেশ থেকে আসা ভুয়া লাইক ও মন্তব্য ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে, অ্যাকাউন্ট তৈরির পরিবর্তে যৌথভাবে লাইক সংগ্রহ করার নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হয়। প্রক্সি ব্যবহার করে অবস্থান লুকানো হয়।
ব্লগ পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘ফেসবুকে যখন কেউ নিজের প্রতিনিধিত্ব করেন, তখন তিনি বাস্তব জীবনের মতো দায়িত্বশীলতা দেখান তবে ভুয়া অ্যাকাউন্টে এসব নিয়ম মানা হয় না। এখান থেকে স্প্যাম ছড়ায়।’
এদিকে ফেসবুকের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকেই। অনেকেই হঠাৎ করে অ্যাকাউন্টটি ডিজ্যাবল দেখালে ভেরিকিশনের মাধ্যমে তা সচল করলেও আবার ডিজ্যাবেল হয়ে গেছে।
ফেসবুকের দাবি, অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বিশাল একটি গ্রুপকে শনাক্ত করেছে তাদের সিস্টেম। এই সিস্টেম ভুয়া লাইক সরিয়ে ফেলছে। তারা সহযোগীদের কাছ থেকেও সন্দেহজনক কার্যক্রমে যুক্ত অ্যাকাউন্ট শনাক্তে সাহায্য পেয়েছে। ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরানোয় যেসব পেজে ১০ হাজারের বেশি লাইক আছে, তাতে ৩ শতাংশ লাইক কমবে।
সন্দেহজনক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ায় এই স্প্যামার নেটওয়ার্ককে প্রতিরোধ করা যাবে বলে মনে করছে ফেসবুক। ফেসবুক নিরাপদ রাখতে ভুয়া লাইক আরও দ্রুত শনাক্ত করা এবং ফেসবুক নিরাপদ রাখার কথা বলছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তথ্যসূত্র : ফেসবুক
ইন্টারনেট//এসআই/বিআই/১৫ এপ্রিল, ২০১৭