স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাট শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদের তীর দখল মুক্ত করতে সোমবার (১০ এপ্রিল) থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করছে জেলা প্রশাসন।
ভৈরব নদে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দূষণ ও দখলের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর রোববার (৯ এপ্রিল) বিকালে বাগেরহাট পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন যৌথ ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে নদী তীর ধরে দড়াটানা সেতুর নিচ থেকে বাগেরহাট কাঁচাবাজার পর্যন্ত পরিদর্শন করেন তারা।
পরিদর্শনকালে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন বাগেরহাটের আতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোমিনুর রশিদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট নাজিম উদ্দিন।
মেয়র খান হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ময়লা ফেলার জন্য পৌরসভার নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি প্লান্ট নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে পৌরসভা। নদীর পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীরও উচ্ছেদ করা হবে। এ কাজে জেলা প্রশাসনকে সব ধরনের সহযোগীতা করবে পৌরসভা।
মেয়র আরও বলেন, পৌরসভার সকল রাস্তাঘাট মেরামত ও উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। ইতমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে বাগেরহাট পৌরসভার সকল রাস্তাঘাট ঠিক হবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।
আতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোমিনুর রশিদ বলেন, আমরা মেয়রকে নিয়ে পরিদর্শন করে নদীর সীমানার মাঝে গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নদী তীরে যেন নতুন করে ময়লা-আবর্জান ফেলা না হয় সে দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
নদীর তীরে গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে পৌরসভার সহায়তায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
ভৈরবের দূষণ নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে। ভৈরব নদ বাঁচাতে এবং দূষণ রোধে পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সবাই।
এর প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানকে নিয়ে আলোচনায় বসেন জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সেখানে পৌরসভার নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত ও ভৈরব নদের দূষণ রোধ, ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এইচ//এসআই/বিআই/৯ এপ্রিল, ২০১৭
** ময়লার স্তুপে ঢাকা পড়ছে বাগেরহাটের নদ ভৈরব