স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত হত্যাযজ্ঞের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালির জীবনে নেমে আসে নৃশংস ও বিভীষিকাময় কালরাত্রি।
বর্বর পাক বাহিনী এ রাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হিংস্র দানবের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। নিরপরাধ, নিরস্ত্র, ঘুমন্ত সাধারণ মানুষকে যেভাবে হত্যা করেছিল, তা পৃথিবীর ইতিহাসে ঘৃণ্যতম গণহত্যার নজির হয়ে আছে।
তাই বাঙালির মনে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতটি স্মরণীয় হয়ে আছে কালরাত হিসেবে।
স্বাধীনতার ৪৬ বছর পূর্তির প্রাক্কালে জাতি প্রথমবারের মতো দিনটি পালন করছে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে। গভীর ভালোবাসা আর বিনম্র শ্রদ্ধায় বাগেরহাটের সর্বস্তরের মানুষ পালন করছে দিনটি।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে শহরের ডাকবাংলো ঘাট বধ্যবাভূমিতে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের স্মরণ করে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এসময় দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান সবাই।
শহরের পুরাতন ডাকবাংলো ঘাট বধ্যবাভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
তারা বলেন, বাগেরহাট শহরের এই ভৈরব নদীর তীরে নিরস্ত্র মুক্তিকামী মানুষদের ধরে এনে রাজাকাররা গুলি ও নির্যাতন করে হত্যা করতো। আমরা সেইসব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
এইচ/এসআই/বিআই/২৫ মার্চ, ২০১৭
** গৌরবময় স্বীকৃতি পেল ডাকবাংলো ঘাট বধ্যভূমি