স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটে উত্ত্যক্তের অভিযোগ করা কলেজছাত্রীর মা ও বোনকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে বাগেরহাট মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের জের ধরে গত সোমবার সন্ধ্যায় তার স্কুল পুড়ুয়া ছোট বোন ও মাকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে পুলিশ এক আসামিকে আটক করেছে। তাঁর নাম ফেরদৌসী বেগম (৩৮)।
ফেরদৌসীর স্বামী বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে নূর ইসলাম মোল্লাও ওই মামলার আসামি।
মামলার অপর আসামীরা হলেন- নূর ইসলামের ছেলে জোনা মোল্লা, একই গ্রামের আবু সঈদ মোল্লা, তাঁর স্ত্রী শাহানারা বেগম ও তাদের ছেলে সুমন মোল্লা এবং আলীমুল ও দার স্ত্রী পাচি বেগম।
এদিকে মামলা দায়ের হলেও পরিবারটি সামাজিক নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাড়িতে যাননি তাঁরা।
বুধবার দুপুরে ওই কলেজছাত্রী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘সামনে আমার এইচএসসি পরীক্ষা। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে ভয়ে বাড়ি যাইনি। আমার ছোট বোন এখনও খুব অসুস্থ। তার পেটে, বুকে ও মাথা খুব ব্যাথা। মা আর বোন হাসপাতালে আছে আর আমি মামাদের বাড়িতে থাকছি।’
‘আমার বাবা ঢাকায় চাকরি করেন। এখানে আমি আর আমার ছোট দুই ভাই বোন মায়ের সঙ্গে বাড়িতে থাকি। সামনে পরীক্ষা তাও বাড়ি যেতে ভয় লাগছে। যদি তারা আবারও মারধর করে?’
‘স্থানীয় কিছু লোক বিষয়টি মিমাংসা করে ফেলতে বলছে। তাঁরা আমার মামার অফিস এবং বাড়িতেও গেছে।’
‘মিমাংসা মানে মামলা তুলে নেওয়া’ এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে ওই ছাত্রী আরও বলেন, তাঁরা মেয়েদের গায়ে হাত দিছে, এখন আমার মিমাংসার চেষ্টা করছে। এটা কি মিমাংসার বিষয়?
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ আসামীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। তারা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় সবাইকে ধরা যায়নি। সকালে ওই মামলায় অভিযুক্ত এক আসামিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। হামলার শিকার ওই পরিবারটিকে আমরা সার্বিক নিরাপত্তা দিচ্ছি।
এরই মধ্যে ওই ঘটনায় জড়িত এক নারীকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এইচ/এসআই/বিআই/১৫ মার্চ, ২০১৭
উত্ত্যক্তকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় মা-বোনকে মারধর