স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১২শ’ বস্তা সিমেন্ট নিয়ে একটি স্টিলবডি ট্রলার (ভলগেট) ডুবে গেছে।
শুক্রবার ভোররাতে পানগুছি নদীর মোরেলগঞ্জ লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় ট্রলারের চালক শেখ শহিদুল ইসলাম (৪৫) আহত হন। দমকলকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী আকন মুঠোফোনে বলেন, ডুবে যাওয়া ‘এম. ভি. মা ফতেমা’ নামের ট্রলারটি মংলার সেনাকল্যাণ সংস্থা থেকে এক হাজার ৩শ’ বস্তা সিমেন্ট নিয়ে বাগেরহাটের শরণখোলায় যাচ্ছিলো। রাত ১টার দিকে ট্রলারটি মোরেলগঞ্জ পৌছায়। সেখানে মাসুম এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ৭৫ বস্তা সিমেন্ট খালাস করে ট্রলারের শ্রমিক-কর্মচারীরা ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর চারটার দিকে নদীতে ভাটি শুরু হলে পানি কমতে থাকে।
পানি কমে যাওয়ায় ঘাটে বাঁধা রশি ছিড়ে গেলে ট্রলারটি কাত হয়ে নদীতে যুবে যায়। নদীর ঘাটেই ট্রলারটিকে সনাক্তের পর অপর তা বেঁধে রাখা হয়েছে।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম বলেন, ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য মালিককে বলা হয়েছে। তবে সিমেন্টবোঝাই ট্রলারটি ডুবির কারণে পানগুছি নদীতে লঞ্চ, স্টিমার ও কার্গো চলাচলে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
বাগেরহাটে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সিমেন্ট যেহেতু বস্তা অবস্থায় আছে এ জন্য ক্ষতির আশঙ্কা কম। কারণ খোলা অবস্থায় থাকলে তা পানির সঙ্গে গুলিয়ে মিশে যেত। বস্তাবদ্ধ থাকায় তা পানির সংস্পর্শে এসে জমাট বেঁধে যাবে। তবুও আমারা নদীর ওই এলাকা পর্যবেক্ষণে থাকব। যে নদীর পানিতে কোন তারতম্য হচ্ছে কি না।
তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলার ও সিমেন্ট যদি না তোলা হয় তবে নদীর তলদেশ উচু হয়ে যাবে। তা ছাড়া ভারী এবং শক্ত হওয়াতে জোয়ার ভাটার নদীর ওই অংশে দ্রুত পলি জমবে। তাই দ্রুত ট্রলারসহ সিমেট উদ্ধার করা জরুরি।
এইচ/এসআই/বিআই/২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭