মুখোমুখি- হঠাৎ করেই যদি প্রশ্ন করো-
মিছিলে দেখেছি তোমায়, অথচ ভালোবাসতে আসোনি যে?
যদি আশ্চর্য হও- কবিতা লিখেছো অথচ আমায় লেখোনি!
যদি রেগে যাও- এভাবে আমি আর পারছি না।
যদি ক্ষেপে যাও- অনেক হয়েছে, আর না, আর না।
যদি চোখের জলে ভাসে তোমার গাল- সত্যিই পারছি না আর!
মুখোমুখি- দাঁড়িয়ে থাকব তোমার; জানি, কোনও উত্তর নেই আমার।
অস্পষ্ট, তবু দৃঢ় কন্ঠে বলবো- তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না।
প্রতিদিনকার অসহ্য করা দুর্ব্যবহার, মূর্খ-অসভ্যের মতো আচরণ;
বদ্ধ পাগলে’র মতো উম্মাদনা, চিৎকার, চেঁচামেচি, ক্ষ্যাপাটে ভাব;
সবকিছু, দিনশেষে সব’টা নিয়েই ভালোবাসি ‘ভালোবাসা’কে, ‘তোমাকে’!
কতোবার মনে হয়েছে- আজই শেষ; সব, সবকিছু; হয় না এমন?
শেষ হয়েছে? শেষ হয়? যে যাবার সে’তো চলেই যায়; যে থাকে!
গভীর মমত্ববোধ এ ভালোবাসা’য়; গভীর আপনত্ব মিশে থাকে;
জানো, ভালোবাসাকে ভালোরাখাও যে বড্ড কঠিন কাজ।
কেউ কেউ জানে; অনেকেরই জানা নেই; অনেকে জানতে চায় না।
যেমন, আমার জানা নেই- কিভাবে বন্ধুত্বকে অস্বীকার জানাতে হয় বিপদে;
জানা নেই- কিভাবে নিজেকে নিজের মতো করে চালাতে হয়;
জানা নেই- ছোট অথবা এতো বড় জীবনের লক্ষ্য অথবা উদ্দেশ্য’কে।
অথচ, চলছি! বেশ আছি, ভালো আছি; আগেও ছিলাম যেমন।
শুধু এতটুকুই জানি-
দিনশেষে সব’টা নিয়েই ভালোবাসি ‘তোমাকে’, ‘ভালোবাসা’কে!
এসআইএইচ/বিআই/২১ জানুয়ারি, ২০১৭