স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
‘বাগেরহাট অনেক বেশি পর্যটন সম্ভাবনাময়। এখানে পর্যটনের জন্য অনেককিছু করা যেতে পারে’ বলে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী তার পুরোনো কর্মস্থল বাগেরহাটে পরিদর্শনে এসে জেলার সার্বিক উন্নয়ন ও সম্ভাবনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ কথা বলেন।
বাগেরহাট সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে রয়েছে খানজাহান (রহ.) এর মাজার। তিনি (খানজাহান) একদিকে যেমন ছিলেন একজন জেনারেল (শাসক), অন্যদিকে ছিলেন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি। তার নির্মিত ষাটগম্বুজ মসজিদ বিশ্বের অন্যতম সুন্দর একটি প্রাচীন মসজিদ। ষাটগম্বুজ ও সুন্দরবনকে ঘিরে এই এলাকায় পর্যটন শিল্প বিকশিত হতে পারে।’
বর্তমান সরকারের সময়ে মংলা বন্দরের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, মংলা বন্দর এক সময় দূরবস্থায় ছিল। বর্তমানে মংলা বন্দরের অনেক উন্নয়ন করছে। মংলা বন্দরের আবারও অগ্রযাত্রার ধারায় ফেরায় আমি খুশি।
এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পকে এই অঞ্চলের জন্য একটি ‘পাওয়ার হাব’ হিসেবে অবহিত করেন জনাব মুহিদ।
এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মুহিত বলেন, আমাদের কৃষি নির্ভর জাতীয় অর্থনীতিতে বাগেরহাটের বড় ভূমিকা রয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বন্দর, ইপিজেড ছাড়াও মংলাতে অর্থনৈতিক জোন হচ্ছে। এগুলো সবই আমাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
দুপুরে বাগেরহাট সফরকালে মন্ত্রী এ জেলায় এসডিও (সাব-ডিভিশনাল অফিসার) চাকরিরত অবস্থায় তার থাকাকালীন বাসভবন (বর্তমান জেলা প্রশাসকের বাসভবন), ঐতিহ্যবাহী সরকারি পিসি কলেজ, নাগেরবাড়ি পরিদর্শণ করেন।
এর আগে সকালে কুয়াকাটা থেকে হেলিকপ্টার যোগে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় আসেন অর্থমন্ত্রী। প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে। পরে মন্ত্রী মংলা বন্দরে যায়। সেখানে বন্দর জেটি পরিদর্শন এবং বন্দরের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি।
মংলা ও রামপালে স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক এবং বাগেরহাটে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পরিদর্শনকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়সহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
সফর শেষে বিকেলে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে বাগেরহাট ত্যাগ করেন জনাব মুহিত।
এইচ/এসআই/বিআই/১৫ জানুয়ারি, ২০১৭