ইনফো ডেস্ক | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
ইতিহাস অতীতের কথা বলে। কেবল অতীত ঘটনার পারস্পরিক বর্ণনাই নয়; বরং ইতিহাস জুড়ে থাকে প্রাপ্তি–অপ্রাপ্তি, গৌরব–বিয়োগব্যথা।
প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাই কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে; পথ দেখায় আগামীর।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি সবসময় গুরুত্ব বহন করে।
আজ ২ নভেম্বর ২০১৬। ১৮ কার্তিক ১৪২৩ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার। এক নজরে ‘ইতিহাসের এই দিনে’ ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
জন্ম–
৬৮২ : উমর ইবনে আব্দুল আজিজ, আরবের খলিফা
১৮৬৫ : ওয়ারেন জি.হার্ডিং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯তম রাষ্ট্রপতি
১৮৮৬ : ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, আইনজীবি, ভাষা সৈনিক ও রাজনীতিবিদ
১৮৯৮ : জাকির হুসাইন, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর
১৯৩৫ : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বাঙালি সাহিত্যিক
১৯৫২ : কবি মাহবুব বারী
১৯৫৭ : সুলতান মুহাম্মদ শাহ আগা খান, নিখিল ভারত মুসলিমের একজন প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সভাপতি
১৯৬৫ : শাহরুখ খান, ভারতীয় অভিনেতা
মৃত্যু–
১৯৫০ : জর্জ বার্নার্ড শ’, একজন আইরিশ নাট্যকার এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা
১৯৭৪ : বরকতুল্লা, সাহিত্যিক
১৯৭৮: এ এফ এম আবদুল জলিল, সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক
ব্যক্তিত্ব–
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়: একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন। ফটিক নামক কাল্পনিক চরিত্রটি তার সৃষ্টি। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২ নভেম্বর বিট্রিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তাঁর জীবনের প্রথম এগারো বছর কাটে।ভারত বিভাজনের সময়, তাঁর পরিবার কলকাতা চলে যায়।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত: একজন বাঙালি আইনজীবী সমাজকর্মী, ভাষা সৈনিক ও রাজনীতিক। তাঁর পরিচিতি মূলত একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে। দেশ বিভাগের আগে ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত অংশে এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানে তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে তৎকালীন বাংলা প্রদেশের ত্রিপুরা জেলার (বর্তমানের বাংলাদেশ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রামরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর বাবা জগবন্ধু দত্ত ছিলেন কসবা ও নবীনগর মুন্সেফ আদালতের সেরেস্তাদার। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ রাতে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে হত্যা করা হয়।
এ এফ এম আবদুল জলিল: সাহিত্যিক ও ঐতিহাসিক এ এফ এম আবদুল জলিল ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দ খুলনা জেলার তেরখাদা থানার পানতিতা গ্রামে জম্ম গ্রহন করেন। উমেদ আলী মোল্লা ও নজিবুন্নেছা’র সন্তান আবুল ফজল মোহাম্মদ আবদুল জলীল পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবি। একজন দক্ষ ফৌজদারী আইনজ্ঞ হিসাবে খুলনাসহ সারাদেশে পরিচিত ছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের এম.পি.এ নির্বাচিত হন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫৬টি। এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য “সুন্দরবনের ইতিহাস”। ১৯৭৮ সালের ২ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন।
সম্পাদনাঃ সুব্রত কুমার মুখার্জী।
এইচ-এসআই/বিআই/২ নভেম্বর, ২০১৬