প্রচ্ছদ / খবর / রেলপথ নির্মাণে আংশিক সরছে মহিষ প্রজনন খামার

রেলপথ নির্মাণে আংশিক সরছে মহিষ প্রজনন খামার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম

bagerhat-pic-29-10-2016খুলনা-মংলা রেলপথ ‍নির্মাণে জটিলতা নিরসনে দেশের একমাত্র মহিষ-প্রজনন খামারের একাংশ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) বাগেরহাট সার্কিহ হাউজ মিলনায়তনে সরকারি মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের মধ্য দিয়ে খুলনা-মংলা পোর্ট রেল লাইন নির্মাণের এলাইমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভায় এই সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান সভাপতিত্বে সভায় রেলপথ ও মহিষ প্রজনন খামার দুটিই গুরুত্বপুর্ন উল্লেখ করে কোনটিরই যেন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে প্রাধান্য দিয়ে এ সুপারিশ গৃহীত হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, রেল মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব আহমেদ মোরশেদ, প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, খুলনা-মংলা রেলের প্রকল্প পরিচালক মো. মুজিবর রহমান, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়নাধীন ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মংলা রেলের ১ হাজার ১শ’ ফুট এলাইনমেন্ট মহিষ-প্রজনন খামারের ভেতর দিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। এতে মহিষ-প্রজনন কেন্দ্রে মহিষের প্রজনন, অকাল প্রসবসহ লালন-পালন ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দেয়।

এর প্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রজনন-খামার রক্ষার্থে এলাইমেন্ট কিছুটা পরিবর্তন করে মহিষ খামার উত্তর পশ্চিম দিকে ১৫০ গজ দুরে প্রায় ২০ একর জমি নতুন অধিগ্রহন করে সরিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শন করে গঠিত কমিটি সরকারের কাছে এ বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন খামারের মধ্য দিয়ে খুলনা-মংলা রেললাইন স্থাপনে জটিলতা দেখা দেওয়ায় পহেলা সেপ্টেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় মহিষ খামারের জন্য উপযুক্ত জমি খুঁজতে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে সভাপতি ও রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আমজাদ হোসেনকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

ওই কমিটি গঠনের সময়ও রেলের এলাইমেন্টের কোনো পরিবর্তন না করে মহিষ-প্রজনন খামারটিকে পশ্চিম দিকে সরিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। 

এএটি/এসআই/বিআই/২৯ অক্টোবর, ২০১৬

About বাগেরহাট ইনফো নিউজ