স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝলমলিয়া দিঘির পাড়ে ‘আর্ট এন্ড সায়েন্স’ শীর্ষক কর্মশালা শেষ হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নের ঝলমলিয়া দিঘির পাড়ে গবেষণাধর্মী সংগঠন ‘ব্যাক আর্ট’-এর উদ্যোগ্যে পাঁচ দিনব্যাপী ব্যতিক্রমী এ আয়োজন শেষ হয়েছে।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের ব্যবস্থাপনায় ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৬জন বিজ্ঞান গবেষক এবং ১৪ জন চারুশিল্পী এই কর্মশালায় অংশ নেন।
ব্যাক আর্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি চারুশিল্পী শুভ সাহা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিলো এলাকার আঞ্চলিক উপকথা বা নেটিভ মিথগুলো এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে তুলে আনা। পাশাপাশি এর আলোকে বিজ্ঞান মনস্কতা সৃষ্টির জন্য স্থানীয় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা।’
তিনি বলেন, রামপালের গ্রামীণ এই জনপদে ‘ঝলমলিয়া দিঘি’ বহু শত বছর ধরে একই ভাবে অসংখ্য মানুষের সুপেয় পানির আধার হিসেবে কাজ করছে। আবার বিশাল এই দীঘিকে ঘিরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের মাঝে রুপকথা বা লোককথার মত অনেক কাহিনী দানা বেঁধেছে। যা ক্রমে এই জনপদের মানুষের স্থানীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও বিশ্বাসের সাথে একাত্ম হয়ে গেছে।
আমরা শুধু এর শেকড়ের সন্ধান করতে চেয়েছি চিত্রকলার ‘নিও মিডিয়া আর্ট’ বা সমকালীন মাধ্যমে তা প্রকাশ করার চেষ্টায়।
অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো স্থানীয় তিনটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘বিজ্ঞান মনস্কতার আলোকে সুস্থ জীবন’ এবং ‘পানি ও পানির নিরাপদ ব্যবহার’ শীর্ষক দুটি কর্মশালা। এছাড়া স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় শিশুদের অবচেতন মনে জমে থাকা কাল্পনিক ‘ভূত’ নামের অদৃশ্য ও অলিক কল্পবস্তুটি তুলি-কালির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলার প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে শুক্রবার চিত্রশিল্পীরা তাদের গবেষণাধর্মী প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের আলোকে চিত্রকলার সমকালীন বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে দীঘির চারিধারে ১৪টি শিল্পকর্ম তৈরী করেন।
কর্মশালায় অংশ নেয়া চিত্রশিল্পীরা হলেন – বিপ্লব বিপ্রদাস, শুভ সাহা, উমা ম-ল, জুয়েল এ. রব, নাজমুন নাহার, ইসমাঈল হোসেন নিলয়, জাহিদ হোসেন, প্রমথেস দাস পুলক, অসীম হালদার সাগর, ফারাহ নাজমুন, আরশি, রুবেল, মেহেদী হাদ ও মহসীন কবির হিমালয়।
এএইচ/এসআই/বিআই/৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬