সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুল-উল আলম হানিফ অভিযোগ করেছেন, জামায়াত-শিবির আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম ব্যবহার করে দেশে একের পর এক জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকালে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের আহ্বান’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য হানিফ বলেন, ‘দেশে আইএস, আলকায়দা ও তালেবান নামে কোন জঙ্গি সংগঠন নেই। জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে হলে জামায়াত-শিবির নির্মূল করতে হবে।’
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ বলেন, ‘রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিসান রেষ্টুরেন্ট থেকে শুরু করে পূরোহিত এবং ধর্ম যাজকসহ সকল হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই জামায়াতের সহযোগি সংগঠন ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মী। ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল জামায়াত ইসলাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম দিয়ে দেশে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে।’
দেশে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধিদের বিচার চলছে। যুদ্ধাপরাধী হিসাবে জামায়াত ইসলাম এখন আদালতের কাঠগড়ায়। জামায়াত ইসলামের শীর্ষপর্যায়ের অনেক নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বিচারের রায়ে দন্ড ভোগ করছেন এবং আরও অনেক শীর্ষ নেতার মামলা এখনো বিচারধীন আছে। এদের বিচার শেষ হওয়ার পর পরই যুদ্ধাপরাধি দল হিসাবে জামায়ত ইসলামের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নিয়ে গোটাবিশ্ব শংঙ্কিত। মুসলমান হিসাবে আমরা লজ্জিত ও দু:খিত। মুসলমানদের দিয়ে মুসলমানদের ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। হত্যার দায়ভার মুসলিমদের উপর চাপানো হচ্ছে।
কর্মশালায় জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি তৎপরতা বন্ধ করতে আলেম সমাজের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজমুল হকের সভাপতিত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মশালায় অনান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক মো. হারুণ অর রশিদ প্রমুখ।
ইসলামী ফাউন্ডেশন বাগেরহাট আয়োজিত এই কর্মশালায় জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয় শতাধিক খতিব, ইমাম ও শিক্ষক অংশ নেন।
বিপি/এজি/এসআই/বিআই/১৩ জুলাই, ২০১৬