সুন্দরবনের প্রবেশ মুখে মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে ডুবে যাওয়া দু’টি কার্গো জাহাজের কোনটিকেই এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ডুবে যাওয়া জাহাজের কারণে বনের ভেতরে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জাহাজের জ্বালানী তেলের ভাসমানআস্তরনে ইতিমধ্যে ওই এলাকার নদীর পানি দূষিত হয়ে জলজ প্রাণীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন বিভাগ জাহাজ দুটির বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করেছে।
অন্যদিকে দু’টি জাহার ডুবির কারণে বন্দর ও অভ্যন্তরীণ চ্যানেলে নৌ চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আইনী জটিলতার কারণে জাহাজ উদ্ধার করতে পারছে না বলে অভিযোগ মালিক পক্ষর।
উল্লেখ, মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল সংলগ্ন সুন্দরবনের শেলা নদীর জয়মনি এলাকায় ১১ হাজার ব্যাগ সিমেন্ট নিয়ে গত ১৪ মার্চ ডুবে যায় এমভি মোতাহার হোসেন নামের কার্গোটি। তবে বেঁচে যান এর নাবিকরা।এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় ক্লিংকার বোঝাই মোকসুদপুর-২ নামের অপর একটি কার্গো জাহাজ ডুবে যায়। এ ঘটনায় ওই জাহাজের দু’জন নাবিকের মৃত্যু হয়।
ডুবে যাওয়া কার্গো মোতাহার হোসেনের মালিক মোঃ শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় ডুবুরিদের মাধ্যমে কার্গোটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু বন বিভাগ মামলার দোহাই দিয়ে তা উদ্ধারে বাঁধা সৃষ্টি করছে। এতে জাহাজটিকে সরিয়ে নেয়া যাচ্ছে না।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার এনামুল হক জানিয়েছেন, মোকসুদপুর-২ নামের কার্গোটিকে নদী থেকে উদ্ধারে দু’মাসের সময় দেয়া হয়েছে মালিক পক্ষকে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম মাস্টার জানান, মংলা থেকে ঢাকা ও বরিশালসহ অন্যান্য স্থানের সাথে নৌ যোগাযোগের একমাত্র প্রধান এই চ্যানেলে আড়াআড়িভাবে কার্গো জাহাজটি ডুবে যাওয়ায় ওই চ্যানেলে নৌ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন জানান, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ডুবে যাওয়া সিমেন্টবাহী কার্গোর কারণে বনের অভ্যন্তরে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ডুবন্ত কার্গোর জ্বালানী তেলের ভাসমান আস্তরনসহ অন্যান্য বর্জ্যের কারণে ইতিমধ্যে ওই এলাকার নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছে।