সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে অবদানের জন্য বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বাগেরহাটের জেলেদের মধ্যে বাইনোকুলার বিতরণ করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাটের চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলেদের মধ্যে এগুলো বিতরণ করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক জাহাংগীর আলম।
বন বিভাগ, মৎস অধিদপ্তর, ইউএসএইডি ও ওয়ার্ল্ড ফিসের উদ্যোগে ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটি (ডব্লিউসিএস) বাংলাদেশ এ উদ্যোগ নেয়।
‘সুস্থ সাগর-সুস্থ জনগণ’- স্লোগানে আয়োজিত সামুদ্রিক প্রাণী বিষয়ক শিক্ষামূলক প্রদর্শনী অনুষ্ঠান থেকে প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের ৯টি মাছ ধরা ট্রলারের বাইনোকুলার দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে জেলার সমুদ্রগামী অন্যান্য জেলে ট্রলারেও এ সরঞ্জাম বিতরণ করা হবে বলে জানায় ডব্লিউসিএস।
অনুষ্ঠান শেষে বাইনোকুলার পাওয়া জেলেদের এর ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. খান কামাল উদ্দীন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, জেলে আক্কাস আলী প্রমুখ।
ডব্লিউসিএস বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রুবাইয়াত মুনসুর মোগলী বলেন, ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গোপসাগর, সুন্দরবন ও সংলগ্ন নদ-নদীতে ডলফিন, হাঙ্গর, শাপলাপাতা মাছ এবং কচ্ছপ সংরক্ষণ ও এ নিয়ে গবেষণা করছে। উপকূলীয় জেলেরাও এই কাজে আমাদের সহায়তা করে আসছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত আমাদের গবেষণা ও বিপন্ন প্রায় এসব প্রাণীকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এই ধারাবাহিকতায় আমরা জেলেদের মাঝে বাইনোকুলার বিতরণের উদ্যোগ নেই। গভীর সমুদ্রে জেলেরা এর সাহায্যে নিজেদের জীবণ রক্ষার পাশাপাশি বিপন্ন প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করবে বলে আশা তাদের।