সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্প সংলগ্ন বনে আগুন আগুন লেগেছে।
রোববার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়েত হোসেন জানান, বন বিভাগের কর্মীরা সন্ধ্যায় বনের মধ্যে আগুনের কুণ্ডলি দেখে খাল থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি।
সকালে বন বিভাগ ও মোড়েলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। যাতে আগুন ছড়াতে না পারে সেজন্য বনের মধ্যে ফায়ার লাইন কাটা হচ্ছে।
যেখানে আগুন লেগেছে ওই এলাকায় গাছপালা কিছুটা কম জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আগুন অনেকটাই নিভে গেছে। তবে কিছু কিছু স্থানে আগুনের ফুলকি রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মোড়েলগঞ্জ স্টেশন অফিসার স্বপন কুমার ভক্ত জানান, বনের মধ্যে পচা পাতা থেকে তৈরি হওয়া মিথেন গ্যাসের স্তর জমে গেলে বনজীবীদের ফেলা জ্বলন্ত বিড়ি-সিগারেট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে, বাতাসের তীব্রতার কারণে মাঝে মধ্যে আগুনের কুণ্ডলি দেখা যাচ্ছে।
তবে, বনের মধ্যে কত একর জমিতে এ আগুন ছড়িয়েছে সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশের নিচু এলাকায় বসন্তের শেষ ও গ্রীষ্ম শুরুর মৌসুমে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
এ সময় তীব্র বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে; নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হয়।
২০১৪ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের গুলিশাখালী ক্যাম্পসংলগ্ন পয়ষট্টি ছিলা এলাকায় বনে আগুন লেগে অন্তত পাঁচ একর বনভূমি পুড়ে যায়। ২০১১ সালে ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ক্যাম্প এলাকায় পোড়ে দুই একর বনভূমি।
ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) সুলতান মাহমুদ জানান, এ মৌসুমে মৌয়ালরা মধু আহরণ করতে বনে আসে। চাক ভাঙার সময় তারা আগুন ব্যবহার করে। সেখান থেকেও বনে আগুন ছড়িয়ে থাকতে পারে।