সুন্দরবনে র্যাবের সঙ্গেবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন এক বনদস্যু নিহত হয়েছেন।
র্যাব জানিয়েছে, নিহত মশিউর রহমান (৩০) সুন্দরবন এলাকার বনদস্যু দল ‘মঞ্জু বাহিনীর’ উপ প্রধান। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায়।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের চরা পুটিয়ার খাল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে দেশি-বিদেশি ১১ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল রোববার সকালে বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের চরা পুটিয়ার খাল এলাকায় অভিযানে যায়। ওই এলাকায় টহল দেয়ার সময় সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বনের গহিনে লুকিয়ে থাকা বনদস্যুরা র্যাব সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় র্যাবও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী চলে গুলিবিনিময়। পরে দস্যুরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চলিয়ে এক দস্যুর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ এবং বনের ভেতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ফরিদুল আলম বলেন, স্থানীয় জেলেরা মৃতদেহটি বনদস্যু ‘মজনু বাহিনীর ’ উপ-বাহিনী প্রধান মশিউরের বলে সনাক্ত করে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে— দু’টি দোনলা বন্দুক, তিনটি একনলা কাটা বন্দুক, দু’টি একনলা বন্দুক, তিনটি এলজি, এয়ার রাইফেল, ২৯ রাউন্ড বন্দুকের তাজা কার্তুজ, ১২৬ রাউন্ড পয়েন্ট ২২ বোর রাইফেলের গুলি, ২৯৭ রাউন্ড এয়ার গানের গুলি, ৩২টি বন্দুকের ফায়ারকৃত কার্তুজ (খোসা), পাঁচটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র/রামদা, দুটি বান্ডুলিয়ার, মোবাইল সেট, সিমকার্ডসহ দস্যুদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ রশদ সামগ্রী ও তৈজষপত্র।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক ও অপারেশন অফিসার মেজর আদনান কবির জানান, বনদস্যু মজনু বাহিনী দীর্ঘ দিন ধরে সুন্দরবনের শ্যালাগাং, হারবাড়িয়া, শিবসা ও পশুর নদী এলাকায় জেলে ও বনজীবিদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।
এঘটনায় মামলা দায়েরের পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ নিহত দস্যুর লাশ র্যাবের পক্ষ থেকে বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।