গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজি কালে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে নারীসহ মানবাধিকার কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
এরা হলেন, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার কালিবাড়ি গ্রামের তোতাম্বর আলীর ছেলে সোহাগ মোল্লা রাহুল (৩৪) ও মংলার সেলিম হাওলাদারের মেয়ে জান্নাতি ইসলাম সুখী (১৯)।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম জানান, আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কাছে নিজেকে এনএসআই’র কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাদের পক্ষে ভালো রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন সোহাগ নামে এক যুবক। বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরে আসার পর উপজেলার বারইখালী ইউনিয়নের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর (এইচ.এম মুরাদ হোসেন) কাছ থেকে নগদ টাকা গ্রহণের সময় হাতে নাতে সোহাগকে আটক করা হয়।
এ সময় সম্ভাব্য এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছ থেকে নেওয়া তিন হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরো বলেন, প্রতারক সোহাগ ও তার সহযোগী নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা নিজেদের মানবাধিকার কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। দু’জনেই দাবি করেন তারা মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য।
এদের মধ্যে সোহাগ মোল্লা ওরফে রাহুল নিজেকে ওই মানবাধিকার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আইডি কার্ড দেখান। তবে জান্নাতি ইসলাম সুখীর কাছে কোনো পরিচয়পত্র বা কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোহাগ ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুর রহিম বাচ্চু, জিউধরা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ফজলুর রহমান হাওলাদারসহ সম্ভাব্য বেশ কয়েক জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূক্তভোগীরা জানান, দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভালো রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে সোহাগ ও সুখী টাকা নিয়েছে।