জলবায়ুর উষ্ণতা থেকে বাঁচার দাবিতে বাগেরহাটে গণ-পদযাত্রা, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
কপ-২১ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনকে (প্যারিস) সামনে রেখে শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিভিন্ন সংগঠন এসব কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি থেকে ‘জলবায়ু অভিযোজনে ক্ষতিপূরণকে ঋণের পরিবর্তে, অনুদান হিসেবে’ প্রদানের জন্য দাবি জানানো হয়।
টিআইবি, রূপান্তর, কারিতাস বাংলাদেশ, সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, সার্ভিস বাংলাদেশ, ন্যাজারিণ মিশন, গঠন ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র ওই আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত বাগেরহাট সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) শহরের প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
‘জলবায়ু অভিযোজনে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ঋণ নয়, অনুদান চাই’ দাবিতে মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে উন্নত রাষ্ট্রগুলো দায়ী। তাই তাদের কাছ থেকে কোন শর্ত মেনে ক্ষতিপুরণ হিসাবে ঋন নয়, অনুদান দিতে হবে।
প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশসহ দরিদ্র দেশগুলো নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখী হচ্ছে। অভ্যান্তরিন সম্পদ দিয়ে এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সরকারসহ সকলকে সচেতন হয়ে কাজ করার আহবান জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট সনাকে’র সভাপতি এ্যাড. রামকৃষ্ণ বসু, সনাকে’র জলবায়ু বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক এ্যাড. জাহাংগীর আলী বাবু, প্রফেসর আব্দুর রব চৌধুরী, অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন, শেখ আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে জেলার মংলা উপজেলায় একই দাবিতে গণ-পদযাত্রা ও সমাবেশ করে বিভিন্ন সংগঠন।
উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রাটি মংলার মামার (ঘাট) জেটিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও লবণাক্ততা থেকে সুন্দরবন, কৃষি এবং পরিবেশ রক্ষার দাবি জানান।
এসব কর্মসূচিতে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা উপকূলবাসীর বিভিন্ন দাবি সম্বলিত সুসজ্জিত প্লাকার্ড-ফেস্টুন-পোস্টার-বাদ্যযন্ত্র শোভা পায়।