বিদ্যুৎ-গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাগেরহাটে বিক্ষোভ মিছিল করতে গিয়ে পুলিশর বাধা পেয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (২৯ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ প্রথমে শহরের পুরাতন কোট এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ কয়েকশত গজের মধ্যে তাদেরকে আটকে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের বাঁধার মুখে মিছিলে অংশ নেওয়া দলীয় নেতা-কর্মীরা বাগেরহাট প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নেয় এবং সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, দেশে বিদ্যুৎ-গ্যাস ও নিত্যপ্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা বিকালে দলীয় কার্যালয় থেকে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে একদল পুলিশ এসে নেতা-কর্মীদের মিছিল বের করতে নিষেধ করে এবং দলীয় কার্যালয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
কিছু পরে পুলিশ সেখান থেকে চলে গেলে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রেসক্লাবের কাছে যেতেই পুলিশ তাদের আবারো বাঁধা দেয়। পুলিশের বাঁধার মুখে মিছিলটি আর সামনের দিকে যেতে পারেনি।
এক পর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা বাগেরহাট প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নিয়ে সেখানে দাড়িয়ে বক্তব্য রাখে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা জানান, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ে ঘরোয়া ভাবে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দলীয় অফিসে কোন নেতা-কর্মীকে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখেনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিইআরসি, যা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়বে ২০ টাকা; ৬০০ ইউনিটের বেশি খরচে অতিরিক্ত গুণতে হবে কমপক্ষে ৩০ টাকা।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে বিভিন্ন মহল গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে।