১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে ১৬ ডিসেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত বাগেরহাটে গণহত্যা চলে। এসব হত্যাকান্ডের জন্য কয়েকটি নির্দিষ্ট বধ্যভূমি থাকলেও অধিকাংশ গণগত্যা সংগঠিত হয়েছে বাগেরহাটের গ্রামাঞ্চলগুলোতে।
’৭১-এর ২৫ মার্চ ঢাকায় (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী) যে গনহত্যা শুরু হয় পরের মাস (এপ্রিল) থেকে সে হত্যাযগ্য ছড়িয়ে পড়ে জেলা, উপজেলা ও মফস্বল অঞ্চলগুলোতে।
পাকবাহিনী ও তাদের সহযোগী দোসরদের সুপরিকল্পিত গনহত্যার কর্মসূচিতে ঢাকা এবং মফস্বল অঞ্চলগুলোতে ছিল মৌলিক তফাত।
বধ্যভূমি সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি ‘পূর্বদেশ’ পত্রিকায় সিকানদার আবু জাফর লিখেছিলেন “গ্রামে গ্রামে বধ্যভূমি তার নাম আজ বাংলাদেশ’। বস্তুত, এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তৎকালীন বাগেরহাট মহকুমায় একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তিকে মারা হয়েছে, এমন গণহত্যার ঘটনার সংখ্যা অর্ধশতাধিক।
সেই হিসাবে বাগেরহাটের বধ্যভূমির সংখ্যা • অর্ধশতাধিক।
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: ডাকরা গণহত্যা
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: শাঁখারীকাঠি গণগত্যা
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: বগী গণহত্যা
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: মঘিয়া বধ্যভূমি ও গণহত্যা
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: রামপাল বধ্যভূমি ও গণহত্যা
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: কান্দাপাড়া বাজার বধ্যভূমি
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: চিতলমারী বধ্যভূমি
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: দেপাড়া বধ্যভূমি
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: মুক্ষাইট বধ্যভূমি
- বাগেরহাটের বধ্যভূমি: বিষ্ণুপুর বধ্যভূমি
⇑ পাকিস্থানি সেনা ও তাদের এদেশীয় সহযোগীদের গণহত্যার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস এখনও সংগৃহীত হয়নি। আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা গণহত্যার চিত্র তুলে ধরতে বাগেরহাট ইনফো ডটকম-এর এই উদ্যোগ।
বাগেরহাটে ঘটে যাওয়া ’৭১-এর কোনো না কোনো হত্যা, নির্যাতন ও বধ্যভূমির কথা আপনি বা আপনার নিকটজনের জানা। সে কথা আমাদেরও জানান। আমাদের বিশ্বাস প্রান্তিক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও একাত্তরের নৃশংসতার তথ্য। কেবল সম্মিলিতভাবেই সম্ভব ঘটনাগুলো তুলে ধারা।
তথ্য পাঠান এই ঠিকানায় – info@bagerhatinfo.com