সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে দু’দল বনদস্যুর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জেলে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গুলিবিদ্ধ আহত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় বলে জান গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর ধানসাগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বনদস্যু ভাই ভাই বাহিনী ও বারেক বাহিনী বন্দুক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রায় এক ঘন্টা ধরে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গুগুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের চলাকালে ওই এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা দিকবিদিক হয়ে যে যার মত দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দস্যুদের ছোড়া গুলিতে অন্তত তিনি জেলে বিদ্ধ হয়।
আহতরা হলেন- বাগেরহাটের শরণখোলার এসহাক আলীর (৩৫), মোরেলগঞ্জের ইউনুছ আলী (২৫) ও আমিনুল ইসলাম।
রবিবার (৩১ মে) সকালে তারা শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
তবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দল বনদস্যুর মধ্যে চলা বন্দুক যুদ্ধে কোন দস্যু হতাহত হয়েছে কিনা তাও নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি ফিরে আসা জেলেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, রাতের কারণেই বোঝা বা দেখা যায়নি কোন ডাকাত মারা কিংবা গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি না?
এদিকে শ্যালা নদীতে বনদস্যুদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় জেলে এবং বন সংলগ্ন গ্রাম গুলোতে চরম আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, তিনি এমন কোন খবর পাননি, তবে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
অন্যদিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা আমার এলাকার মধ্যের ঘটনা না, চাদপাই রেঞ্জে খবর নেন।
মংলাস্থ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন’র অপারেশন অফিসার লে: কমান্ডার এম আলাউদ্দিন নয়ন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, কোস্ট গার্ড সদস্যরা এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং ওই এলাকায় দস্যু দমনে অভিযান ও তল্লাশি শুরু করবেন।