দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগে বাগেরহাটে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পাঁচ দিন আগে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের হেদায়েতপুর গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। অভিযুক্ত আবু তালেব (৫৭) একই গ্রামের কৃষক।
শনিবার (৩০ মে) রাতে হেদায়েতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবু তালেব ওই গ্রামের মৃত নাদের আলীর ছেলে।
রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রোববার (৩১ মে) দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এই ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে আবু তালেবকে আসামী করে বাগেরহাট মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
মেয়েটির মা বলেন, আমি ও আমার স্বামী ভিক্ষাবৃত্তি করে আমাদের সংসার চলে। গত ২৫ মে আমরা দু’জনে ভিক্ষা করতে বাড়ি থেকে বের হলে প্রতিবেশি আবু তালেব এই সুযোগে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে একা পেয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
রাতে আমরা বাড়িতে ফিরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় পাই। পরে তার অসুস্থতার কারন জানতে চাইলে মেয়েটি ঘটনা খুলে বলে। পরে তাঁকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেই।
লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে এই ঘটনা আমরা কাউকে জানায়নি। কিন্তু পরে প্রতিবেশিদের ঘটনা খুলে বললে তারা আমাকে পুলিশ বিষয়টি অবহিত করার জন্য পরামর্শ দেন।
শনিবার রাতে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ মামলা নেয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোজাম্মেল হক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, রাতে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আবু তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ডাক্তারীর জন্য পাঠান হয়েছে।