ইনজামামুল হক । বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগরেহাট জেলা সদরের ষাটগুম্বজ ইউনিয়নের সুন্দরঘোনা গ্রামে খান জাহান (রহ:) যে হাবেলী বা প্রশাসনিক কেন্দ্র গড়ে তোলেন তার নিকটে ষাটগুম্বজ মসজিদের পশ্চিম পাশে আবস্থিত ঘোড়া দীঘি।
তবে সবচেয়ে মজার তথ্যা হল, এটিই সম্ভাবত হযরত খানজাহান (রহ:) খনন কৃত এ অঞ্চলের প্রথম দীঘি। প্রমান সরুপ বলা যেতে পারে; খান-উল-আযম উলুঘ খান-ই-জাহান/খানজাহান আলী (রহ:) এ অঞ্চলে (বর্তমান বাগেরহাট) প্রবেশ করে প্রথম যে স্থানে তার সৈন্যদের ব্যারাক স্থাপন করেন, বর্তমানে এ এলাকার নাম বারকপুর। সে স্থানেই তাঁর প্রথম দীঘি খনিত হয়। আর বারকপুরের সবচেয়ে কাছের দীঘি/জলাধার এ “ঘোড়া দীঘি”।
কার কার মতে, খান জাহান (রহ:)তার এলাকা খলিফাতাবাদের প্রশাসনিক কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য এ এলাকা উঁচু করা এবং সুপেয় পানির ব্যাবস্থা নিশ্চিত করার জন্য এ দীঘিটি খনন করনে।
আয়তকার দীঘিটি পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা। দীঘিটির আয়তন প্রায় ২০০০’ x ১২০০’। বার মাসই পানি থাকে এ দীঘিতে। এর গভীরতা কোন কোন স্থানে প্রায় ২৪/২৫ ফুট। দীঘির পূর্ব দিকে ইটের পাকা ঘাট আছে।
ঘোড়াদীঘি নাম করণ নিয়ে প্রবাদ আছে যে- একটি ঘোড়া এক দৌড়ে যত দূর গিয়েছিল, ততটা দির্ঘ্যে খনন করা হয় প্রকান্ড এ দীঘি। কার কার মতে, দীঘি খননের পর খানজাহান (র:) ঘোড়ায় চরে দীঘির চারপাসে ভ্রমন করতেন তা থেকে “ঘোড়াদীঘি” নাম করণ করা হয়। আবার অনেকের মতে, দীঘিটি খননের পূর্বে এ স্থানে তার সেনাদের কুচকাওয়াজ ও ঘোড়দৌড় হতো। আর এ ঘোড়দৌড় থেকে “ঘোড়াদীঘ” নামকরণ হয়েছে।
ষাটগুম্বজ মসজিদের সবচেয়ে কাছে হওয়ায় ঘোড়া দীঘি “ষাট গুম্বজের দীঘি” নামেও পরিচিত।
Support Context:
- যশোর খুলনার ইতিহাস – সতীশ চন্দ্র মিত্র
- বিবর্তিত বাগেরহাট – মোহম্মাদ রেজাওয়ানউল হক