মেলার সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির যোগাযোগ নিবিড়। মেলায় ফুটে উঠে সব ধর্মের মানুষের সংস্কৃতি। প্রতি বছর বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে আনন্দ-উদ্দীপনায় মিলন-মেলা বসে বাগেরহাটে।
এক সময় প্রতি বছর জেলায় প্রায় ৮০ টির মত বড় মেলা হত। কিন্তু উদ্যোক্তা, পারিপারর্শ্বিকতাসহ বেশ কিছু কারনে বর্তমানে এধরনের লোকসংস্কৃতির বাহক মেলার সংখ্যা কমে এসেছে।
ধর্মীয় ও সামাজিক বিশ্বাস, আচার-আচরণ, জীবন-যাপন প্রণালী, চিত্তবিনোদনের উপায় ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বাগেরহাটের লোকসংস্কৃতিতে এখন টিকে আছে বেশ কিছু মেলা। এ ক্ষেত্রে বাগেরহাটের সবচেয়ে বড় মেলা হল ‘দরগার মেলা’ নামে পরিচিত খাঞ্জেলীর/খানজাহানীর মেলা (খান জাহান আলীর মেলা)।
এছাড়া জেলা সদরের যাত্রাপুর লাউপালা গোপাল মন্দির প্রাঙ্গনে প্রতি বছর রথ যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত রথের মেলা ও সুন্দরবনের দুবলার চরের রাস মেলা খুবই বিখ্যাত। এসব মেলাকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে।
বাগেরহাটের উল্লেখ যোগ্য মেলা ⇒
- ‘খাঞ্জেলী মেলা’ বা ‘দরগার মেলা’
- যাত্রাপুরের ‘রথের মেলা’
- সুন্দরবনের ‘রাস মেলা’
- তালেশ্বর মেলা
- মঘিয়ার মেলা
লোকসংস্কৃতি ⇒
- খানজাহান (র:) মাজারের ওরস
- সুন্দরবনের ‘বনবিবি’ পূজা