সুন্দরবনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব-৮) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দারোগা বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মরা পশুর ফরেস্ট ক্যাম্পের পূর্ব পাশের সীমানার খালে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
এরা হলেন- এনামুল হাওলাদার ওরফে দারোগা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছবীর(৩২) ও অজ্ঞাত পরিচয় (২৮)।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম ঘটনাস্থল থেকে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, দারোগা বাহিনীর সদস্যরা পূর্ব সুন্দরবনের ওই এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর একটি দল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই এলাকায় যায়। রাতে মরা পশুর নদীর সীমানার খাল এলাকা অবস্থান নেয়।
এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে মাইকে দারোগা বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলে র্যাব সদস্যরা। কিন্তু দস্যুদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না।
পরে র্যাব সদস্যরা দস্যুদের ধরতে ভোরে বনের প্রবেশ করে। এ সময় অতর্কিতভাবে র্যাবের ওপর গুলি চালায় দস্যুরা। এসময় আত্মরক্ষায় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘন্টা বনদস্যুদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ চলে।
পরে স্থানীয় জেলেদের নিয়ে র্যাব সেখানে তল্লাসি চালিয়ে দুই দস্যুর মৃতদেহ, দস্যুদের ব্যবহ্নত ১২টি দেশি-বিদেশি আগ্নে অস্ত্র, বিপুল পরিমান গুলি ও রসদ উদ্ধার করে। জেলেরা নিহত দুজনের মধ্যে বনদস্যু সগীরকে সনাক্ত করে বলে জানান তিনি।
র্যাব-৮ এর উপঅধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর বনদস্যু দারোগা বাহিনীর প্রধান এনামুল হাওলাদার ওরফে দারোগা র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে – ৭টি একনলা বন্দুক, ৪টি ওয়ান সুটারগান এবং ১টি নাইন এমএম পিস্তল এবং ১৭৭ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি।
নিহত দস্যুরা দির্ঘ্য দিন ধরে সুন্দরবন ও সাগরে মাছ ধরা জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালসহ সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল বনজীবীদের বিভিন্ন সময়ে অপহরণ করে চাঁদা আদায় করে আসছিল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ ও মরদেহ দুটি বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র্যাব জানিয়েছে।