মা যেমন তার সন্তানকে পরম মমতায় আগলে রেখে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে অথবা মা মুরগি যেমন তার বাচ্চাগুলোকে চিলের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ডানা মেলে পালকের ভিতর লুকিয়ে রাখে, সুন্দরবন তেমনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের রক্ষাকর্তা হিসেবে কাজ করে আসছে বছরের পর বছর এবং এটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে।
আমি বিশেষ করে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসের ঘূর্ণিঝড় সিডরের কথা উল্লেখ করতে পারি। আমি তখন আমার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে অবস্থান করতেছিলাম। ঘূর্ণিঝড় সিডরের তান্ডব আমি স্বচক্ষে দেখেছি। সারারাত চোখে ঘুম ছিল না। রাত যত গড়াতে ছিল, ঘূর্ণিঝড় সিডরের প্রকোপ তত বাড়তে ছিল। প্রভুকে স্মরণ করতেছিলাম অনবরত। ভোর হতেই ঝড়ের গতিবেগ কমে এল। সকালবেলা চারদিকে শুধুই ধ্বংসের স্তূপ দেখতে পেলাম।
রাস্তাঘাট ছিল চলাচলের অনুপযোগী। প্রত্যেকটি বাড়ির চালার ছাউনি কম বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল; এর মধ্যেও আবার কোনটার চালার ছাউনি বা চালা ছিল না একেবারেই। হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় সিডরে। ঘূর্ণিঝড় সিডর সুন্দরবনে আঘাত হানার পরেও এতটা ক্ষতি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে করতে সক্ষম হয়েছিল। আর যদি ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন না থাকতো তাহলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মনুষ্যজীবনসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র্যর অস্তিত্ব থাকতো বলে আমার মনে হয়না। সুতরাং জীবনের অস্তিত্ব রক্ষায় সুন্দরবনের গুরুত্ব কতোখানি তাহা সবার কাছে সহজেই অনুমেয়।
৯ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ইং তারিখে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ঘটে যাওয়া ৩,৫৭,৬৬৪ লিটার ফার্নেস তেলসহ ‘ওটি সাউদার্ন স্টার-৭’ নামক ট্যাঙ্কারডুবিতে পরিবেশের যেসব ক্ষতি সাধিত হয়েছে তাহা নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ
১) নদী ও নদীর সংলগ্ন উদ্ভিদমূল এর লেন্টিসেলের ক্ষতিসাধন। এর ফলে শ্বাসমূল বন্ধ হয়ে জোয়ার-ভাটার সাথে উদ্ভিদের অভিযোজন ক্ষমতা কমে যাবে এবং দীর্ঘসময় পরে উদ্ভিদের মৃত্যু ঘটবে।
২) নদী ও নদীসংলগ্ন প্রাণীকূল যেমন মাছরাঙা, পানকৌড়ি, ভোঁদর, কাকড়া, কুমির, বাঘ, হরিণ, শূকর, ব্যাঙ, সাপ, বু্নোহাঁস, বনমোরগ, গুইসাপ ইত্যাদির মুখে ও শরীরে ফার্নেস তেল লেগে থাকার দরুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ার ক্ষমতা কমে গেছে, চর্মরোগের প্রার্দুভাব ঘটছে এবং মুখ থেকে তেল যখন পাকস্থলীতে প্রবেশ করছে তখন প্রাণির মৃত্যু ঘটছে।
৩) দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় এবং তার আশেপাশের খালসহ ২টি নদী যেমন পশুর এবং বলেশ্বেরের পানিতে জোয়ার-ভাটার কারণে ৩৬০ কি.মি. এর বেশি জায়গা জুড়ে তেল ছড়িয়ে পড়া এবং মৎস্য সম্পদের মারাত্নক ক্ষতিসাধন। মাছের বৃদ্ধির জন্য দায়ী অন্যতম জলজ প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান উদ্ভিদকণা এবং প্রাণিকণার পরিমাণ প্রতি লিটার পানিতে উল্লেখযোগ্যহারে কমে যাওয়া (সূত্রঃ গবেষণালব্ধ ফলাফল, ফিসারিজ এ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়)। গবেষণালব্ধ ফলাফল অনু্যায়ী, প্রতি লিটার পানিতে গড়ে ৬০০টি উদ্ভিদকণা এবং ১০০টি প্রাণিকণা পাওয়া গেছে। কিন্তু যেখানে প্রতি লিটার পানিতে স্বাভাবিকভাবে ১২০০টির বেশি উদ্ভিদকণা এবং ৫০০টির বেশি প্রাণিকণা আশা করা হয়।
8) নদীর পানির উপরে তেলের আবরণ থাকার কারণে পানিতে অক্সিজেন ও সালোকসংশ্লেষণের উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া। এর ফলে নদীর পানির খাদ্যশৃংখল প্রক্রিয়া ভেঙ্গে পড়েছে।
৫) পর্যটন শিল্পের বিকাশমান ধারা বাধাগ্রস্ত। দুর্ঘটনাকবলিত এলাকাটি বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ ৬টি ডলফিন অর্থাৎ শুশুকের অভয়াশ্রম ছিল। কিন্তু তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণে ডলফিন অন্যত্র মাইগ্রেশন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কিছু মারাও গিয়েছে। ফলে পর্যটক এখন ডলফিনের খেলা দেখতে ঐ দুর্ঘটনাযুক্ত এলাকাটিতে যেতে আর অনুপ্রাণিত হবে না।
৬) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপর বিরুপ প্রভাব পড়া। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস হচ্ছে সুন্দরবনের মধু সংগ্রহ এবং মৎস্যশিকার। তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণে ৭৫% মাছের ডিম, লার্ভা এবং জুভেনাইল ধ্বংস হয়েছে এবং বাকি ২৫% বড় মাছ নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে অন্যত্র গমন করেছে (সূত্রঃ গবেষণালব্ধ ফলাফল, ফিসারিজ এ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়)। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং দারিদ্র্যের চরম কষাঘাতে তাদের দিনাতিপাত করতে হবে।
৭) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনের স্বাস্থ্য-অবনতির চরমঝুকি। যেহেতু দুর্ঘটনাকবলিত এলাকার আশেপাশের দরিদ্র লোকজন স্পঞ্জ, হাড়ি, বালতি, নেট ইত্যাদি নিয়ে খালি হাতে তেল সংগ্রহ করেছে এবং করছে। অনেক সময় তেল সংগ্রহ করতে খালি পায়ে এবং খালি গায়ে নেমে গেছে তেল নিঃসৃত কাদা ও পানির ভিতর। ফলে দরিদ্র খেঁটে খাওয়া মানুষগুলো চরম স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এটা সাময়িকভাবে বোঝা না গেলেও এর ফল দীর্ঘমেয়াদি। এর ফলে তদের চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ যেমন মাথা ঘোরা, হাঁপানি, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, চোখ জ্বালা ইত্যাদি হওয়ার স্বীয় সম্ভাবনা রয়েছে (সূত্রঃ www2.epa.gov/emergency-response/epas-response-techniques)।
তেল অপসারণে করণীয় এবং পালনীয় বিষয়সমূহঃ
১) দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটির চারদিকে বেলুনের মতো প্লাস্টিক এর ফোলানো পাইপ ব্যবহার করে জাহাজের অবশিষ্ট তেল অন্যান্য খাল ও নদীতে ছড়িয়েপড়া রোধ করা এবং ফোলানো পাইপের ঠিক পিছনেই বৈঠাচালিত নৌকা ব্যবহার করে পাইপে আটকেপড়া তেল স্পঞ্জ দিয়ে সংগ্রহ করা। এ সময় যন্ত্রচালিত বা ইঞ্জিনচালিত নৌকা ব্যবহার করা যাবে না কারণ এটি ঢেউয়ের সৃষ্টি করে যাহা পাইপে আটকেপড়া তেল দূরে সরিয়ে দেবে (সূত্রঃ www.ag.ndsu.edu/flood/media-resources/news-releases/after-the-flo…)।
২) সুন্দরবনের শ্যালা নদীসংলগ্ন যে সমস্ত খালের ভিতরে জোয়ার-ভাটার সময় তেল ছড়িয়ে পড়েছে সে সমস্ত খালের মুখে ফোলানো পাইপ বা কচুরিপানা ব্যবহার করে তেল আটকে রাখা এবং পরে তাহা স্পঞ্জ দিয়ে সংগ্রহ করা।
৩) নদীসংলগ্ন দু’কূলের যেসমস্ত বৃক্ষের পাতা ও ডালে তেল লেগে আছে সেগুলি কেটে ফেলা। কেননা এখন শীতকাল, সুতরা শীতকালে এমনিতেই গাছের পাতা ঝরে যায় এবং বসন্তকালে আবার তাহা নতুন করে গঁজিয়ে উঠবে।
৪) কোন প্রাণী বা পাখির গায়ে তেল লাগলে তাহা ডিটারজেন্ট বা সাবান বা পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার
করে অন্যত্র তথা দূষণমুক্ত এলাকায় ছেড়ে দেয়া। এই কাজটি অনেকবেশি স্পর্শকাতর। তারপরও যে প্রাণী ও পাখিগুলো আমাদের জন্য বিপদজনক নয়, সেগুলোর তেলযুক্ত স্থানগুলো সাবান বা ডিটারজেন্টের পানি দিয়ে ভাল করে ধুঁয়ে কিছুক্ষন রৌদ্রে রেখে, শরীরের পানি শুকিয়ে গেলে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দিতে হবে। আর বিপদজনক প্রাণী যেমন সাপ, কুমির, গুইসাপ ইত্যাদিকে দূর থেকে পাইপের মাধ্যমে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি দিয়ে স্প্রে করে ধুঁয়ে দেয়া এবং যদি সম্ভব হয় নিরাপদ পরিবেশে সরিয়ে দিতে হবে।
৫) তেল সংগ্রহের সময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনকে রবারের হাতমোজা প্রদান করা এবং তাদের চিকিৎসার জন্য অস্থায়ীভিত্তিতে মেডিকেল টিম গঠন করা।
৬) জীবাণু-বিয়োজ্য (Bioremediation) পদ্ধতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পানি বা মাটিতে রাসায়নিক সার যেমন নাইট্রোজেন, ফসফরাস ছিটিয়ে প্রচুর পরিমাণে তেল খেকো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করা যা ফার্নেস তেলের জটিল অণুকে আক্রমণ করবে এবং এটাকে ভেঙ্গে নিষ্ক্রিয় পদার্থে পরিণত করবে (সূত্রঃ আমেরিকান মাইক্রোবায়োলজি সোসাইটি প্রকাশিত রিপোর্ট)।এ পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব, অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী এবং কাজ শেষে খুব অল্প পরিমাণ অবশিষ্টাংশ (Residue) থাকে। এছাড়া বহু প্রচলিত জৈব উত্তেজক রাসায়নিক পদার্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পটাশিয়াম নাইট্রেট (KNO3), অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH4NO3), সোডিয়াম নাইট্রেট (NaNO3), সোডিয়াম বাই ফসফেট (K2HPO4) ইত্যাদি। জৈব প্রযুক্তির সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে তেল দুর্ঘটনার পরিবেশের উপর (বদ্ধ জলাশয় নাকি মুক্ত জলাশয়)। [সূত্রঃ www.epa.gov/oem/docs/oil/fss/fss09/nichols_sum mary.pdf]
৭) নদীর পানিতে ভাসমান তেল বুম দিয়ে এক জায়গায় জড়ো করে প্রশিক্ষিত অগ্নি নির্বাপক কর্মী দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে কিছুটা বায়ুদূষণ হবে।
৮) নৌবাহিনীর আধুনিক তেল সংগ্রাহক সরঞ্জামসহ জাহাজ ব্যবহার করা এবং এই কাজটি নৌবাহিনীর প্রশিক্ষিত কর্মী দ্বারা করতে হবে।
৯) তেল সংগ্রহের সময় তেলসংলগ্ন এলাকায় কোনরকম ধূমপান না করা এবং করলেও বিড়ি কিংবা সিগারেটের শেষ অংশ নিচে ফেলে জুতা দিয়ে সতর্কতার সাথে সম্পূর্ণভাবে নিভিয়ে ফেলতে হবে (সূত্রঃ www.Priyo.com এ প্রকাশিত মোস্তফা কামাল পলাশ এর আর্টিকেল অনু্যায়ী)।
১০) জ্বালানি তেল যেহেতু দাহ্য পদার্থ সেহেতু তেল নিঃসৃত এলাকায় দিয়াশলাই, মোমবাতি, মশার কয়েল ও স্পার্ক করে এমন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা।
১১) বাওয়ালিরা যাতে আগামী ১ মাসের মধ্যে তেল নিঃসৃত এলাকায় মধু সংগ্রহ না করতে পারে তাহা নিশ্চিত করা। কেননা, বাওয়ালিরা আগুন দিয়ে মৌমাছি তাড়িয়ে মধু সংগ্রহ করে। আর অবহেলার কোন কারণে যদি একবার আগুন তেলের সংস্পর্শে আসে তখন মারাত্নক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সুন্দরবনে তথা গাছ-গাছালিতে আগুন লেগে চিরতরে সুন্দরবন ধবংস হয়ে যেতে পারে।
১২) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনের বিকল্প জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসেবে ভিজিএফ এবং অন্যান্য সহযোগিতা করা যাতে করে তারা ঐ দুর্ঘটনাকবলিত এলাকার আশেপাশে মৎস্য সম্পদ আহরণের চেষ্টা না করে।
১৩) সরকারিভাবে তেল ছড়িয়ে রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া এবং সুন্দরবন সংরক্ষণে আলাদা সংগঠন বা কমিটি তৈরি করা যারা শুধুমাত্র সুন্দরবনকে নিয়ে কাজ করবে।
১৪) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বা শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান ও জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে হবে যাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা তার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পুনরায় ফিরে আসতে পারে। এর জন্য সময় লেগে যেতে পারে ৫ থেকে ১০ বছর।
১৫) বিকল্পপথ, যা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরুপ নয়, সে পথদিয়ে নৌযান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে এবং নদীতে পলি পড়ে ভরাট হলে তাহা যথাসময়ে ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
১৬) সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশেষকরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ এ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনসহ অন্যান্য ডিসিপ্লিনের গবেষণালব্ধ ফলাফল, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা, জাতিসংঘ এবং আর্ন্তজাতিক বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ এক দীর্ঘমেয়াদি সিন্ধান্তে উপনীত হতে পারে।
১৭) পরবর্তীতে যেন এরকম দুর্ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেদিকে সরকারসহ আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং দুর্ঘটনা ঘটলেও তাহা তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা করার প্রস্তুতি রাখতে হবে। কেননা, সুন্দরবন আমাদের বেঁচে থাকার আশ্রয়, সবার গর্ব এবং বিশ্বঐতিহ্যের অংশ।
১৮) পুরাতন-মেয়াদবিহীন কার্গো, ট্যাংকার, লঞ্চ ও জাহাজ যাতে নদী বা সমুদ্রে চলাচল করতে না পারে তার জন্য নীতিমালা তৈরি করতে হবে এবং যেসমস্ত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি এটা অমান্য করবে তাহাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বি.কে. রায় মুখার্জী (বাবু), মাস্টার্স ইন কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন সায়েন্স (অধ্যয়নরত),
ফিসারিজ এ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
ই-মেইলঃ bkroy.ku@gmail.com
স্বত্ব ও দায় লেখকের…