বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নদী পারাপারের সময় ট্রলার থেকে পড়ে গিয়ে মুন্নি বেগম (২২) নামে এক অন্তঃস্বত্তা গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন।
রোববার সকাল ১০টার দিকে স্বামীর সাথে বাবার বাড়ি যাবার পথে উপজেলার পানগুছি নদীর ছোলমবাড়িয়া ঘাট পার হবার সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশ যৌথভাবে ওই নারীকে উদ্ধারে কাজ করছে। তবে, দুপুর ২টা পর্যন্ত মুন্নি বেগমকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ মুন্নি মোরেলগঞ্জ উপজেলার কালিকাবাড়ি গ্রামের মো. তোতা মিঞার স্ত্রী।
মো. তোতা মিঞা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সকালে কালিকাবাড়ি গ্রাম থেকে স্ত্রী মুন্নিকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি কাঁঠালতলা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর ছোলমবাড়িয়ার ঘাটে এসে নদী পার হবার জন্য ট্রলারে উঠি এবং ট্রলারের এক পাসে বসি। ট্রলারটি ছেড়ে দেয়ার কিছু পরে কোন কারন ছাড়াই হঠাৎ আমার স্ত্রী পিছন থেকে পানগুছি নদীতে পড়ে যায়।
এদিকে, পড়ে যাওয়ার এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ৫/৬ মাস পূর্বে তোতা মিয়ার সাথে মুন্নি আকতারের বিয়ে হয়। মুন্নি তোতা মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। নদীতে পড়ে যাবার সাথে সাথে তার স্বামীর তাকে উদ্ধারে চেষ্টা করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নদীতে পড়ে গৃহবধূর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা মুহুর্তে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার নারী পুরুষ নদীর পাড়ে ভিড় জমায়। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল হালিম, সহকারী পুলিশ সুপার (মোরেলগঞ্জ সার্কেল) এনামুল হক মিঠু, থানা ওসি মো. আসলাম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুপুরে নিখোঁজে স্বামী তোতা মিয়াকে (৩৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
মোরেলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিলীপ কুমার বিশ্বাস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ওই গৃহবধূকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের পৃথক দল তল্লাসি চালাচ্ছে। তবে, এখনো তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।