বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে হামলা, গণ ডাকাতি এবং মুক্তিপণের দাবিতে শতাধিক জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সুন্দরবনে উপকূল সংলগ্ন সাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া ও সোনাদিয়া এলাকায় দস্যু জাহাঙ্গীর ও ফরহাদ বাহিনীর সদস্যরা দফায় দফায় মাছধরা ট্রলারে হামলা চালায়। এসময় দস্যুরা নগদ অর্থ, মাছ, জ্বালানী তেল লুটে নেয় এবং প্রায় শতাধিক জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহৃত জেলেদের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মারুফ মিয়ার ‘এফবি মধু মিয়া’ ট্রলারের মাঝি মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩২), ‘এফবি মায়ের দোয়া’ ট্রলারের মালিক ও মাঝি রোকা মিয়া (৩৮), নলবুনিয়া দ্বীপচরের আবুল হোসেনের ‘এফবি জনি’ ট্রলারের মাঝি ধলু মোল্লা (৪০), পাথরঘাটার কালিয়ার খাল এলাকার ইসমাইল খানের ‘এফবি এমরান’ ট্রলারের মাঝি মোজাম্মেল হাওলাদার (২৫) এর নাম জানা গেছে।
তবে অন্য জেলেদের নাম পরিচয় এ পর্যন্ত জানা যায়নি।
বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরে আসা জেলেদের বরতা দিয়ে শরণখোলা মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন শুক্রবার রাতে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে মুঠোফোনে জানান, বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলের ফেয়ারওয়ে বয়া, মহিপুর ও সোনাদিয়া এলাকায় ইলিশ আহরণরত মাছধরা ট্রলার বহরে স্বশস্ত্র বনদস্যু জাহাঙ্গীর ও ফরহাদ বাহিনী হামলা ও লুটপাট চালায়।
এসময় তারা জেলেদের মারধর করে নগদ টাকা, জাল, মাছ ও জ্বালানী তেল, মোবাইল ফোন সেট লুটে নেয়। এছাড়া জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবিতে শতাধিক ট্রলারের মাঝিকে তুলে নিয়ে গেছে ওই দস্যুরা।
অপহৃত জেলেদের বাড়ী বাগেরহাটের শরণখোলা, পটূয়াখালীর মহিপুর, বরগুনার পাথরঘাটা, চরদুয়ানী ও পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া এলাকায় বলে জানান মৎসজীবি সমিতির ওই নেতা।
অপরদিকে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান তাদের এলাকার ১৮ জেলে সাগরের ওই এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
তবে, জেলে অপহরণের কোন ঘটনা তাদেও জানা নেই জানিয়ে মংলাস্থ কোষ্টগার্ড পশ্চিমজোনের জোনাল কমান্ডার কাজী মেহেদী হাসান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বিষয়টি খোজঁ খবর নিয়ে দেখবেন।
অপহরণের ঘটনা সঠিক হলে জেলে উদ্ধারে কোষ্টগার্ডের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।