সুন্দরবনে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত লুইস ইজারাদার ওরফে নিশিকান্ত (৪৮) নামে এক জেলের গুলিবিদ্ধ ও বিকৃত লাশ উদ্ধারা করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১টার দিকে সুন্দরবনের ভদ্রা এলাকার চাউলোবগি নামকস্থান থেকে লাশটি উদ্ধার হয়।
নিতহ নিশিকান্ত বাগেরহাটের মংলা উপজেলার দক্ষিন কাইনমারী এলাকার মৃত জোত্যিষ ইজারাদারের ছেলে।
নিশিকান্তের নিকট প্রতিবেশি মো. বেলায়েত হোসেন নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, গত মঙ্গলবার নিশিকান্ত ইজারাদার ও একই এলাকার মৃত অনন্ত মিস্ত্রিরির ছেলে কাদু মিস্ত্রি দুবলার ত্রিকোনা আইল্যান্ডে থেকে মাছ ধরে ফেরার সময় সুন্দরবনের ভদ্রা এলাকার ধলু বাহিনীর হাতে পড়ে।
এসময় বাহিনীটি ২০হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবিতে নিশিকান্ত ইজারাদারকে আটকে রেখে অপরজন কাদু মিস্ত্রিকে টাকা আনতে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তার আধঘন্টা পরই বাহিনী প্রধান ধলু ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড বাচ্চু র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মারা যায়।
জীবিত ফিরে আসা জেলে কাদু মিস্ত্রির বরাত দিয়ে বেলায়েত অভিযোগ করে বলেন, ওই বন্দুক যুদ্ধে পড়ে জত্যিষ ইজারাদার নিহত হন। তার (নিশিকান্ত ) গলায় গুলি লেগে মাথার উপরদিয়ে বেরিয়ে গেছে।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম নিশিকান্ত ইজারাদারের লাশ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, “শুক্রবার সকালে নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে জেলেরা উদ্ধার করে নৌকাযোগে মংলায় নিয়ে এলে লুইসের পরিবারের সদস্যরা তা সনাক্ত করেছে। লুইস ইজারাদারের মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।”
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ভদ্রা ফরেস্ট স্টেশন সংলগ্ন পশুর চ্যানেলে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত বনদস্যু ধলুবাহিনী প্রধান ধলু ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড বাচ্চু নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে র্যাব-৮ এর অপারেশন দল ওই বাহিনির ৬ জনকে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে।