বাগেরহাটের মংলায় জেসমিন (২৭) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে মংলার প্রত্যন্ত পল্লী কাটাখালী এলাকা থেকে মংলা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তার স্বামী তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে নিহতের স্বামী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে ঝগড়া করে অভিমান থেকে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
নিহত জেসমিনের ভাই ফারুক হাওলাদার বলেন, ৭ বছর আগে মংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের কাটাখালী নিবাসী তার বোন জেসমিনের (২৭) সাথে একই গ্রামের জাহিরুল খাঁর(৩৫) বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
গত দুই বছর ধরে জাহিরুল পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর সে তার স্ত্রী কে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। গত মঙ্গলবার এই নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করে বারান্দায় খুটির সাথে লাশ ঝুলিয়ে রেখে বুধবার সকালে সবাইকে ডেকে বলে যে তার স্ত্রী অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলে লাশ শূন্যে না ঝুলে কিভাবে মাটির সাথে মিশে থাকে?
এসময় তিনি তার বোনের হত্যার ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
এদিকে জেসমিনের স্বামী জাহিরুল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার সাথে কারো কোন পরকীয়া সম্পর্ক নেই। আমি আমার স্ত্রীকে কোন নির্যাতনও করিনি।
মঙ্গলবার রাতে সাংসারিক বিষয়ে তার সাথে আমার ঝগড়া হয়। পরে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। ভোর বেলা স্ত্রীকে কক্ষে না পেয়ে দেখি বারান্দায় খুটির সাথে ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। পরে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন কে খবর জানানো হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
তবে, আত্মহত্যা করলে লাশ শূন্যে না ঝুলে কিভাবে মাটির সাথে মিশে থাকে এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নি।
মংলা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুক্তারুজ্জামান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে জেসমিনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরে বলা যাবে ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।