সুন্দরবনে র্যাবের সাথে বনদস্যু ধলু ওরফে ‘দুলু বাহিনী’র বন্দুকযুদ্ধ এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনায় দস্যুদের বিরুদ্ধে র্যাব পৃথক ৩টি মামলা দায়ের কারেছে।
র্যাব-৮ এর ডিএডি হায়দার আলী বাগেরহাটের মংলা থানায় পৃথক মামলা ৩টি দায়ের করেন।
এদিকে এঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে দস্যুতা সংশ্নিষ্টতার অভিযোগে মংলা থানার ওই তিন মামলায় আটক দেখান হয়েছে।
এরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর এলাকার আবু তালেব খাঁন (৩৯), মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (৪০), রামপাল উপজেলার বর্নি এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (৪৭), খুলনার রূপসা উপজেলার তিলক এলাকার কামাল শেখ (৩৬) এবং মংলা উপজেলার দক্ষিণ বালুরমাঠ এলাকার রাজু শিকদার (৩৩)।
তবে র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত নুরুল্লাহ শেখের জেলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম মামলা দায়েরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দস্যুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা, গুম ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে র্যাব ৮ এর ডিএডি হায়দার আলীর দায়ের করা ৩টি পৃথক মামলায় সকালে আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ৫টি একনালা বন্দুক, ১টি দুইনালা বন্দুক, ২টি পয়েন্ট টুটুবোর, ১টি সিক্স শুটার গানসহ ৬১১ রাউন্ড গুলি, ১৭টি মোবাইল, ১৬টি মোবাইল ব্যাটারি র্যাব মংলা থানায় হস্তান্তর করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ভদ্রা ফরেস্ট স্টেশনে সংলগ্ন পশুর চ্যানেলে র্যাবের সাথে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে বনসদ্যু ধলু ওরফে দুলু বাহিনী প্রধান দুলু ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড বাচ্চু।
ধলু ওরফে দুলু বাহিনী প্রধান দুলুর বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার উত্তর খানপুর গ্রামে। তবে দীর্ঘদিন তিনি ধরে রামপালের সোনাতুনিয়া গ্রামে বসবাস করত। সে বনদস্যু রাজু বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিল। গত বছর র্যাকের সাথে বন্দুক যুদ্ধে রাজু বাহিনীর প্রধান রাজু নিহত হলে সে ‘ধলু বাহিনী’ ওরয়ে ‘দুলু বাহিনী’ নামে নতুন বাহিনী তৈরি করেন।
এদিকে, নিহত বাচ্চু বাগেরহাট সদর উপজেলার রনভুমি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। তার প্রকৃত নাম শেখ মোস্তাফিজুর রহমান। তবে তিনি বাচ্চু নামেই পরিচিত। তিনি দীর্ঘদিন সুন্দরবনের ডাকাতির সাথে জড়িত বলে স্থানীয় ও জেলেরা দাবী করেন।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে নিহত দস্যু দ্বয়ের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।