চোখের জলে বাগেরহাটবাসী চির বিদায় জানাল ভাষা সৈনিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ মনছুর আহমেদ স্যারকে।
শনিবার বাদ আছর তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুল মাঠে জানাজার নামাজ শেষে শহরের সরই করবস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাযায় অংশ নেন, বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক শাহ্ আলম সরদার, জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান টুকু, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা বিএনপির সেক্রেটারি আলী রেজা বাবু, জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বাগেরহাটের সর্বস্তরের মানুষ।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পুরতন বাজার লিচুতলা এলাকার বাসবভনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন ভাষা সৈনিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ মনছুর আহমেদ।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুর খরবে সকাল থেকে লিচুতলাস্থ বাসবভনে ছুটে যান তার দির্ঘ্য দিনের সহকর্মী, শিক্ষক, ছাত্র, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতাসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সর্বস্তরের মানুষ।
মরহুম মুনসুর আহম্মেদ ১৯২৯ সালের পহেলা নভেম্বর পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার পত্যাশী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আলহাজ কাশেম আলী হাওলাদার। তিনি ভাষা আন্দোলনসহ প্রগতিশীল বিভিন্ন আন্দোলনে বাগেরহাটে স্বক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
ভাষা সৈনিক মসছুর আহমেদ তার জীবদ্দশায় বাগেরহাটের সর্বস্তরের মানুষের কাছে নির্লোভ, নিরহংকার ও প্রগতিশীল সমাজকর্মী হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি বাগেরহাট ফাউণ্ডেশনের আজীবন সম্মাননাসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।
তার মৃত্যতে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবি, বাগেরহাট প্রেসক্লাব, বাগেরহাট ইনফো পরিবার, বাগেরহাট রিপোটাস্ এ্যাসোসিয়েসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।