বাগেরহাটের কচুয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করা ও যৌন নিপিড়নের অভিযোগে জিকরুল মীর (২৮) নামের এক দপ্তরীকে ১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মজিবুর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ দন্ডাদেশ দেন।
জিকরুল মীর উপজেলার রাড়ীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী ও রাড়ীপাড়া গ্রামের আমীর মীরের ছেলে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, জিকরুল ওই স্কুলে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় শারীরিক ভাবে যৌন নিপিড়ন করে আসছে। যৌন নিপিড়নের শিকার ছাত্রীরা এ বিষয়ে তাদের অবিভাবকদের জানায়।
প্রথম দিকে অবিভাবকরা বিষয়টি চেপে যায়। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে চলার ফলে তারা ১৯ এপ্রিল অবিভাবকার কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম মাহফুজুর রহমানকে সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়।
কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ওই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী জিকরুল মীর তার নিজের স্কুলের মেয়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও উত্যক্ত করে আসছিল। ওই স্কুলের প্রায় ১৫ জন ছাত্রীকে নিপিড়নের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্কুলে পড়া মেয়েদের অভিভাবকরা আমার কাছে এবিষয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জিকরুলকে রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদে ডেকে আনা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নৈশ প্রহরী জিকরুলকে এই সাজা দেন।
এব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মজিবুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দন্ডবিধির ৫০৯ ধারা অনুযায়ী জিকরুলকে ১ বছরের কারদন্ড দেয়া হয়েছে।