২০১৪ সালের বিশ্ব যক্ষা দিবসের স্লোগান হলো “Reach the 3 million” যক্ষ্মা নিরাময়যোগ্য রোগ। কিন্তু বর্তমানে যারা এই রোগে আক্রান্ত তাদের সবাইকে খুঁজে বের করে চিকিৎসা প্রদান ও নিরাময়ের প্রচেষ্টা যথেষ্ঠ নয়।
প্রতি বছর প্রায় ৯০ লাখ আক্রান্ত রুগীর এক তৃতীয়াংশ চিকিৎসার আওতা বহির্ভুত থেকে যায়। এদের অধিকাংশই হতদরিদ্র, শরনার্থী, কারাবন্দি ও ড্রাগ আসক্ত।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের মুল উদ্দেশ্য হলো চিকিৎসার আওতা বহির্ভুত রুগীদের খুঁজে বের করে রোগ নির্নয়, চিকিৎসা ও নিরাময় করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা, আক্রান্ত কমিউনিটির নেতা ও স্বেচ্ছাসেবী, সুশীল সমাজ, স্বাস্থ্য সেবা দানকারি প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক অংশীদার গনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এটা অর্জন করা সম্ভব।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস এ রোগের ঝুঁকি ও ভয়াবহতার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে, যক্ষা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনে, রাজনৈতিক ও সামাজিক দায় বদ্ধতা বাড়াতে ভুমিকা রাখবে।
বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা নিরাময় ও মৃত্যুহার কমানোর ব্যাপারে সাম্প্রতিক বছর গুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর যক্ষ্মা জনিত মৃত্যুহার শতকরা ৪৫ ভাগ কমানো সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া আক্রান্তের হারও নিম্নমুখী। তা সত্ত্বেও ২০১২ সালে প্রায় ৮৬ লাখ নতুন রুগী সনাক্ত করা হয় এবং প্রায় ১৩ লাখ রুগী এ রোগে মারা যায়।
শতকরা ৯৫ ভাগের ও বেশী আক্রান্ত রুগী মারা যায় দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশ সমুহে। হতদরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ন লোক এ রোগের প্রধান শিকার। কিন্তু বায়ুবাহিত এ রোগ সকলের জন্যই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন।
১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী মহিলাদের মৃত্যুর প্রধানতম ৩টি কারনের একটি হলে যক্ষা। ২০১২ সালে প্রায় ৫ লাখ শিশু আক্রান্ত হয়, এবং এর মধ্যে ৭৪ হাজার মারা যায়।
প্রায় ৩০লাখ (প্রতি ৩জনে ১জন) আক্রান্ত রুগীকে প্রচলিত কার্যক্রমে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট রুগীর ক্ষেত্রে অবস্থা আরও ভয়াবহ। প্রতি ৪জনে ৩জন এ ধরনের রুগীল রোগ অনির্নিত থেকে যাচ্ছে।
২০১২ সালে প্রায় ১৬ হাজার রুগী চিকিৎসা পায়নি বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। এইচ,আই,ভি,আক্রান্ত যক্ষ্মা রুগীদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী যতশীঘ্র সম্ভব যক্ষ্মা নিরাময়ের ওষুধের পাশাপাশি এ্যান্টি রেট্রোভাইরাল (ART) থেরাপী প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরী।