বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে হট্টগোল এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নাজেহাল করার ঘটনা ঘটেছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৫মিনিট বিলম্বে শুরু হয় এক সাথে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কার্যক্রম।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জন্য বিশেষ মর্যাদাসহকারে সামনের আসন না রাখার অভিযোগে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হালিম ও তার স্ত্রী, থানা ওসি আব্দুর রকিব খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সবার সোফাসেট ও সামনের টেবিল মাঠের মধ্যে ছুড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
এ ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাতীয় দিবস উপলক্ষে তার লিখিত বানীতে ”ভৌগলিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেলেও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না পাবার আক্ষেপ। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দলবাজি, মিথ্যাচারসহ বিভিন্ন অনিয় থেকে বেরিয়ে না আসে পারার” কথা উল্লেখ করাকে – সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী বাক্য ব্যবহার অবিহিত করে প্রতিবাদ হয়ে। এতে ঘটনার উত্তাপ বাড়ে। এ ঘটনার কারনে নির্ধারিত ১১টা থেকে ৫মিনিট দেরিতে মোরেলগঞ্জে শুরু হয় জাতীয় সংগীত।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, স্বাধীনতা দিবস এবং লাক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলা অনুষ্ঠানের সাথে এক সাথে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উপজেলাতে ব্যপক চাঁদা বাজি হয়েছে। প্রশাসনের এই চাঁদার ভাগ না পাওয়াতেই স্থানীয় আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন এবং এঘটনা ঘটে।