নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া, জালভোট প্রদান, হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থানে অবরুদ্ধ করে রাখা এবং এক শিবির কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে বাগেরহাটে চলছে বিএনপি ও শিবিরের হরতাল।
তবে সাকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকলেও মাঠে নেই দল দুটির নেতা-কর্মীরা। ফলে নিরুত্তাপ ভাবেই চলছে হরতাল।
বোববার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জেলার কোথাও চোখে পড়েনি হরতালের প্রভাব।
ছিল না কোথাও কোন মিছিল-মিটিং কিম্বা পিকেটিং। স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল। খোলা আছে দোকাল-পাট ও অফিস-আদলত।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শনিবার (১৫ মার্চ) বাগেরহাটে ছাত্র শিবির নেতা মানজারুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে রোববার জেলা ব্যাপি সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় ইসলামী ছাত্র শিবির। এছাড়া বাগেরহাটে ৪টি উপজেলার নির্বাচন বর্জন করে পূনঃনির্বাচনের দাবিতে জেলা বিএনপি বাগেরহাট সদর, রামপাল, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় এই ৪ উপজেলায় হরতালের ডাক দেয়।
তবে হরতালের ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এস এ সালাম বলেন, তারা একটি মিছিল করেবন। তবে কখন মিছিল করবেন তা জানান নি। এছাড়া তিনি জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় আ’লীগের লোকজন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে বলে দাবি করেছেন।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা বাগেরহাট ইনফোকে জানান, হরতালে জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রয়েছে স্বাভাবিক। এছাড়া যেকোন ধরনের নাশকতা এড়াতে পুলিশকে সর্তক অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।